টেস্টকে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বানিয়ে ফেলা এখন ইংল্যান্ডের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনামের সঙ্গে মিল রেখে যে ক্রিকেটকে বলা হচ্ছে ‘বাজবল’।
আরো পড়ুন: তাবলিগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
পুঁজি বড় হোক আর না হোক, ইংল্যান্ডের সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হতেই হবে। মাউন্ট মুঙ্গানুইতে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও মারমুখী চেহারায় ইংলিশরা।
ওভারপ্রতি প্রায় ৫ রানরেটে ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৭৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন তাদের লিড ৯৮ রানের।
জ্যাক ক্রলি ৩৯ বলে ২৮ আর বেন ডাকেট ২৭ বলে ২৫ করে আউট হয়েছেন। ওলি পোপ ১৪ রানে অপরাজিত। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে ৬ রানে অপরাজিত স্টুয়ার্ট ব্রড।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাড়ে পাঁচের ওপর রানরেটে ৯ উইকেটে ৩২৫ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে ইংল্যান্ড। প্রথম দিনই ৩৭ রানে তারা তুলে নিয়েছিল কিউইদের ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনে ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে ডেভন কনওয়ে আর টম ব্লান্ডেল দলকে উদ্ধার করেন। ১৫১ বল খেলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় কনওয়ে ৭৭ করে ফিরলেও সাত নম্বরে নামা ব্লান্ডেল লড়াকু এক সেঞ্চুরি উপহার দেন।
সঙ্গীরা একের পর এক সাজঘরে ফিরেছেন। কিন্তু একটা প্রান্ত ধরে শেষ পর্যন্ত খেলে যান ব্লান্ডেল। ১৮১ বলে ১৯ চার আর ১ ছক্কায় ১৩৮ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটারকে আউট করে কিউইদের অবশেষে থামিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৩০৬ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
ওলি রবিনসন ৫৪ রানে নেন ৪টি উইকেট। ৩৬ রানে অ্যান্ডারসনের শিকার ৩টি।
আরো পড়ুন: বিপিএল নবম আসরের শিরোপার লড়াই শুরু