বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে অভিযুক্ত কায়েম আলী ওরফে কাইয়ুম নামের ওই কবিরাজের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদশা বুলবুল মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানান, গত সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে কথিত ওই কবিরাজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থীর হাতের আঁচিল তুলতে তার এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে কবিরাজ কায়েম আলীর বাড়িতে যায়।সেখানে কবিরাজ আঁচিল উঠানোর চিকিৎসার সময় রোগীর সাথে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেন এবং মেয়েটিকে একটা বাতাসা খেতে দেন। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে না বলতে বিভিন্ন হুমকি দেন কথিত ওই কবিরাজ।
আরো পড়ুন: হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৪৪ হাজার ১৫৬ জন হজযাত্রী
ঘটনাটি জানাজানির পরে কথিত কবিরাজ গা ঢাকা দিয়েছেন।ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, তারা ফকিরহাট উপজেলার একটি গ্রামের ভাড়া থাকেন। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তারা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়া এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকায় ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে জানায়নি।ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে সংশিষ্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
আরো পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্ক গেলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন